দেশবাসীর কাছে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতির অবদান রাখার সুযোগ আছে। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রপতি কতটা করবেন, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, রাষ্ট্রপতির সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগও নেই।’
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব নতুন রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে জাতির প্রত্যাশা রয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে পরিস্থিতি চরমভাবে ঘণীভূত হয়েছে। তার (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) ভূমিকা দেশের মানুষের কাছে, রাজনীতিতে মোটেও হালকা নয়। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা এবার অন্য রকম। যদিও তিনি কী বলবেন, করবেন, তা জানা নেই। তিনি দলীয় হবেন কি না, দলের উদ্দেশ্য পূরণ করবেন কি না, নাকি দেশের জন্য কাজ করবেন, সেটা তার ওপর নির্ভর করবে।’
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খুব ভালো মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদিও তার কাছে আমাদের কোনও প্রত্যাশা ছিল না। তিনি খাঁটি আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। তবে মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন প্রাণবন্ত মানুষ ও পজিটিভলি সবকিছু দেখতেন। তার দিক থেকে তিনি কতটাইবা করতে পারতেন, সেটা সবারই জানা।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে, দলের এমন প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত। এক ব্যক্তির কাছে সর্বময় ক্ষমতা থাকতে পারে না। সে জন্যই আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার কথা বলছি।’
ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আশা করছি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সংঘাত এড়িয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।’
সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলন চলছে, সামনে আন্দোলন আরও বেগবান হবে। সরকারের আচরণেই নির্ভর করবে বিএনপির আন্দোলনের ধরন কী হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
Leave a Reply